সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০১ অপরাহ্ন
বরিশাল রেঞ্জের পুলিশ কনস্টবল সাইফুল ইসলাম (ব্যাজ নং ১৭/৭৬) কতৃক ঝালোকাঠি জেলার নলছিটি থানা এলাকার আলামিন নামের এক যুবকের উপর হত্যার উদ্বেশ্যে হামলা ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে বরিশাল রেঞ্জের ডি.আই.জি বরাবর অভিযোগ এবং সংবাদ সম্মেলন করেন হামলার শিকার যুবকের বাবা সোহরাব শরিফ ও স্ত্রী রুপা বেগম। গত মাসে সংবাদ সম্মেল করার পরে নড়ে চরে বসে প্রশাসন। বের হয় সিসিটিভির ফুটেজ ও কল রেকর্ড। সেই সূত্র ধরে জানাযায়, কনস্টবল সাইফুল ইসলাম রনির প্রেমিকা বাখেরগন্জ উপজেলার আখি নামের এক মেয়ের মাধ্যমে ভুক্তভুগী আলআমিন শরিফকে নাটকিয় প্রেমের ফাদে ফেলে কনস্টবল সাইফুল ইসলাম রনি। এর পর আখিঁর মাধ্যমে আলআমিনকে ডেকে নিয়ে ৫/৬ জন মিলে হামলা চালায়। গতকাল কনস্টেবল সাইফুলের প্রেমিকা আখিঁকে নলছিটি থানায় জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য বেড়িয়ে এসেছে বলে জানান ভুক্তভুগী অসহায় আলআমিনের বাবা মো: সোহরাব হোসেন। এদিকে হামলা হামলার শিকার আল আমিন’য়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আলআমিনের বাবা সোহরাব শরীফ ইতিপূর্বে সংবাদ সম্মেলনে জানায় গত বেশ কয়েক বছর যাবৎ নলছিটি থানার বিন্দুঘোষ গ্রামের প্রতিবেশি নুর ইসলামের হাওলাদারের সাথে পৈত্তিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল জোর করে নুর ইসলাম আমাদের পুকুরে মাছ ছাড়তে আসলে আমরা বাধা দিলে নুর ইসলামের স্ত্রী আমাদের পরিবারের ৭জনের বিরুদ্বে নলছিটি থানায় একটি ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দেয়। আমরা আদালতকে সম্মান করে আত্বসমার্পন করলে আদলত আমাদের প্রতি খুশি হয়ে চলতি মাসের ৭তারিখ আমাদেরকে জামিন দেয়। জামিনো আসার পর থেকে নুর ইসলাম তার দলবল নিয়ে আমাদের আশে পাশে ঘুরতে থাকে এবং ভিবিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয়। সর্ব শেষ গত ৮তারিখ আমার ছেলে আলআমিন আমার বোনের বাড়ি বেড়াতে যায়। এবং ৯তারিখ আমার বোনের বাড়ি থেকে কোরবানির গরু ক্রয়ের উদ্বেশ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি রওয়ানা দিলে পাওতা থেকে বিহংগল গ্রামে পৌছালে আমার ছেলেকে ৪টি মটর সাইকেলে করে পুলিশ পরিচয়ে সন্ধা ৬টার সময় বরিশাল রেঞ্জের কনস্টবল সাইফুল ইসলাম (ব্যাচ নং- ১৭/৭৬) সহ কয়েকজন সন্ত্রাসী তুলে এনে ভোলা রোডের দক্ষিন পাশের একটি বিল্ডিংয়ের নিচে নিয়ে আসে। পরে আমার ছেলে আলআমিনের হাত, চোখঁ, ও মুখ বেধে লোহার রড ও ইট দিয়ে মাথা ও হাতে পায়ে আগাত করে। এরপর তারা আমার ছেলের পকেটে থাকা নগদ ৫০হাজার টাকা নিয়ে যায়। আহত আলআমিন এখন মূমর্শ অবস্থায় বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। বরিশাল রেঞ্জের কনস্টবল সাইফুল ইসলাম (ব্যাচ নং- ১৭/৭৬) এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার চেয়েছেন অসহায় আলামিনের পরিবার। উল্লেখ্য এবিষয়ে জুলাই মাসের ২২তারিখ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ হেড কোয়াটার সহ বেশ কয়রকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আলাআমিনের বাবা সোহরাব শরীফ।